ওয়ালটন মোবাইল আমরা অনেকেই ব্যবহার করে থাকি। বর্তমান সময়ে দেশি কোম্পানি হিসেবে ওয়ালটন মোবাইল বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আর এই মোবাইলের দাম জানার জন্য আমরা প্রায়ই ওয়ালটন মোবাইল প্রাইস ইন বাংলাদেশ অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকি। তাহলে বন্ধুরা চলুন বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ওয়ালটন মোবাইল প্রাইস ইন বাংলাদেশ
বর্তমান সময়ে মাএ ৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকায় ওয়ালটনের স্মার্টফোন পাওয়া যায়। তবে এসকল স্মার্টফোন সম্পর্কে অনেকেই জানেন না কারন আমাদের অনেকেই দেশে তৈরি স্মার্টফোনের প্রতি রয়েছে অনিহা। তবে কম দামে দূরান্ত পারফরম্যান্স ও ফিচার প্রদান করে থাকে ওয়ালটনের মোবাইল গুলি।বাংলাদেশের স্মার্টফোনের বা প্রযুক্তি বাজারে ওয়ালটন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম। দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটন মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু উন্নতমানের ও সাশ্রয়ী বিকল্প প্রদান করে আসছে। তাদের ফোনগুলো প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশ শক্তিশালী, তবে দামও থাকে অনেকটাই প্রতিযোগিতামূলক। চলুন দেখে নেওয়া যাক, বর্তমান বাজারে ওয়ালটন মোবাইলের দাম কেমন এ সম্পর্কে
ওয়ালটন মোবাইলের বিভিন্ন মডেল ও দাম
- Walton NEXG N10: Walton NEXG N10 একটি শক্তিশালী স্মার্টফোন যা বর্তমানে 15,499 টাকায় পাওয়া যায়। এতে রয়েছে Android 14 অপারেটিং সিস্টেম এবং R OS, 6.7 ইঞ্চি 720×1600 পিক্সেল ডিসপ্লে। ফটোগ্রাফির জন্য ফোনটিতে 50MP ক্যামেরা ও 1080P ভিডিও রেকর্ডিং সক্ষমতা রয়েছে। এতে 8GB RAM এবং MediaTek Helio G85 প্রসেসর যুক্ত আছে, যা দ্রুত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। ফোনটির শক্তিশালী 5000mAh Li-Po ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ প্রদান করে। Walton NEXG N10 উন্নত প্রযুক্তি এবং কার্যক্ষমতার এক ভালো সংমিশ্রণ।
- Walton NEXG N73: Walton NEXG N73 একটি শক্তিশালী স্মার্টফোন যা ২০২৪ সালের ১৫ই মার্চ মুক্তি পেয়েছে। এর মূল্য ১৩,৯৯৯ টাকা। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ৭২০ x ১৬১২ পিক্সেল ডিসপ্লে এবং ৫২ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা যা ১০৮০পি ভিডিও রেকর্ডিং সমর্থন করে। ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে চলবে এবং এতে ৮ জিবি র্যাম ও UNISOC TIGER T606 প্রসেসর রয়েছে। শক্তিশালী ৬০০০মAh লি-পো ব্যাটারি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যাবে।
- Walton XANON X90: Walton XANON X90 একটি আধুনিক স্মার্টফোন যা মে ২০২৪-এ লঞ্চ করেছে। মোবাইলটির মূল্য ২৯,৯৯৯ টাকা। ফোনটি Android 14 এবং Dido OS 15 দ্বারা চালিত। এতে ৬.৭ ইঞ্চি ১০৮০x২৪৬০ পিক্সেল রেজোলিউশনের ডিসপ্লে রয়েছে। ক্যামেরা সিস্টেমে ৬৪MP 4K রেজোলিউশনের পেছনের ক্যামেরা এবং সামনে একটি শক্তিশালী সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। এতে ২৪ GB RAM এবং MediaTek Helio G99 প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটির ব্যাটারি ৫০০০mAh Li-Po যা ৩৩W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। এটি একটি শক্তিশালী এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডিভাইস হিসেবে বিবেচিত।
গ্রাহকেরা কেন ওয়ালটন মোবাইল কিনবে
গ্রাহকেরা কেন ওয়ালটনের মোবাইল কিনবে এর পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে:
- প্রযুক্তিগত উন্নতি: ওয়ালটন মোবাইলের প্রতিটি মডেলেই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন মডেলে সর্বশেষ প্রসেসর, উন্নত ক্যামেরা এবং সঠিক সেবা প্রদান করে থাকে।
- সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়: বিদেশী ব্র্যান্ডগুলির তুলনায়, ওয়ালটন মোবাইলের দাম সাধারণত কম। এতে করে অধিকাংশ গ্রাহক সহজেই সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের ফোন কিনতে পারেন।
- সাপোর্ট: ওয়ালটন মোবাইল দেশের অভ্যন্তরে তৈরি হয়, তাই গ্রাহকদের দ্রুত সেবা এবং রক্ষণাবেক্ষণ প্রদান করা সম্ভব।
- বাংলাদেশের সকল জেলায় ওয়ালটনের শোরুম ও সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। এক্ষেত্রে মোবাইলের যেকোনো সমস্যায় তাদের পাশে পাওয়া যাবে।
কাদের জন্য ওয়ালটন স্মার্টফোন ভালো হবে
যারা গেমিং করে থাকেন তারপর ফটোগ্রাফি করে থাকেন, টুকিটাকি কাজ করে থাকেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাদের জন্য এই স্মার্টফোন ভালো হবে।
শেষ কথা
আশা করি আমরা আপনাকে, ওয়ালটন মোবাইল প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পেরেছি। এ পোস্টটি সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে আপনি অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।
আরো জানতে পারেন: যদি হাত থেকে পড়ে যায়, তবুও সহজে ভাঙবে না এই ফোন
(সব খবর প্রতি মুহূর্তে পেতে ফলো করুন আমাদের Google News পেজ)