৫০ মেগাপিক্সলের ট্রিপল ক্যামেরা সেটাপে ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় যে ফোন
ফটোগ্রাফির জন্য আমরা বরাবরই এটি ভালো স্মার্টফোন চাই। সম্প্রতি শাওমি Xiaomi 14T Pro মোবাইলটি বাজারে। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে Xiaomi 14T Pro স্মার্টফোনটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করবো।
সেলফি ক্যামেরার দিকে তাকালে, Xiaomi 14T Pro-এ ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে, যা ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্সের সাথে আসে। এই ক্যামেরাটি HDR ফিচার সাপোর্ট করে, যা সেলফি এবং ভিডিও কলে আরও স্পষ্ট ও ডিটেইলড ছবি এবং ভিডিও প্রদান করে। সেলফি ক্যামেরা 1080p@30fps রেজুলেশনে ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম, যা সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভিডিও কনফারেন্সের জন্য যথেষ্ট।
Xiaomi 14T Pro-এর ক্যামেরা সিস্টেমটি ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য বেশ ভালো পারফরম্যান্স প্রদান করে। এটি একটি ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপের সাথে আসে, যা ফটোগ্রাফির বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। মূল ক্যামেরাটি ৫০ মেগাপিক্সেলের, যার অ্যাপারচার f/1.7 এবং এটি ২৩ মিমি ওয়াইড লেন্স সমন্বিত। এই ক্যামেরার সেন্সর সাইজ ১/১.৩১ ইঞ্চি, যা বেশ বড় এবং এতে PDAF (Phase Detection Auto Focus) এবং OIS (Optical Image Stabilization) প্রযুক্তি যুক্ত আছে। বড় সেন্সর এবং OIS এর সমন্বয় কম আলোতেও অসাধারণ ছবি তোলার ক্ষমতা প্রদান করে, বিশেষ করে রাতে বা ইনডোর শুটিংয়ে বেশ ভালো পারফর্ম করে।
দ্বিতীয় ক্যামেরাটি ৫০ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স, যা f/1.9 অ্যাপারচার সহ আসে। এই লেন্সটি ৫০ মিমি ফোকাল লেন্থে শার্প পোর্ট্রেট এবং ২x অপটিক্যাল জুম করা যায়। টেলিফটো লেন্সে থাকা PDAF প্রযুক্তি দ্রুত এবং নির্ভুল ফোকাসিং সক্ষম করে, ফলে চলন্ত অবজেক্টের ছবি তোলাও অনেক সহজ হয়।
তৃতীয় ক্যামেরাটি হলো ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড লেন্স, যার অ্যাপারচার f/2.2 এবং ফোকাল লেন্থ ১৫ মিমি। এই ক্যামেরাটি ১/৩.০৬ ইঞ্চি সেন্সর সাইজ এবং ১.১২ মাইক্রোমিটার পিক্সেল সাইজ দিয়ে আসে, যা ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল শটের জন্য বেশ উপযুক্ত। বিশেষ করে গ্রুপ ফটো, আউটডোর দৃশ্য এবং আর্কিটেকচারাল ফটোগ্রাফিতে এটি অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদান করে। আল্ট্রাওয়াইড লেন্স দিয়ে কোনো বিকৃতি ছাড়াই সুন্দর ছবি তোলা যায়।
Xiaomi 14T Pro-এর ক্যামেরা সেটআপে Leica লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে, যা আরও উন্নত এবং প্রিমিয়াম ইমেজ কোয়ালিটি নিশ্চিত করে। এছাড়াও, এতে LED ফ্ল্যাশ, HDR এবং প্যানোরামা মোড রয়েছে, যা আরও সৃজনশীলতা ও বৈচিত্র্য আনতে সক্ষম। ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে, ডিভাইসটি 8K ভিডিও রেকর্ড করতে সক্ষম, পার সেকেন্ডে শুট করা যায়। এছাড়া 4K রেজুলেশনে 24/30/60 ফ্রেম পার সেকেন্ডে এবং 1080p-তে 30/60/120/240/960 ফ্রেম পার সেকেন্ডে ভিডিও ধারণ করা সম্ভব। ভিডিও স্টেবিলাইজেশনের জন্য এতে রয়েছে gyro-EIS প্রযুক্তি, যা ঝাঁকুনিহীন এবং মসৃণ ভিডিও ধারণের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফটোগ্রাফি কিংবা ভিডিও তৈরি করতে চান সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করার জন্য তাদের জন্য এই মোবাইলটি বেশ ভালো একটি স্মার্টফোন হতে চলেছে। যদিও এই মোবাইলটি এখনো বাজারে অফিশিয়ালি লঞ্চ হয়নি ।মোবাইলটি সম্পর্কে লেটেস্ট কোন তথ্য প্রকাশ হওয়া মাত্রই আমরা আপনাকে এই আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানাবো।
আরো জানতে পারেন: কার্ভড ডিসপ্লে থাকছে ইনফিনিক্সের যে ফোনে
(সব খবর প্রতি মুহূর্তে পেতে ফলো করুন আমাদের Google News পেজ)